শান্তিতে ধূমপান ও মদপানের জন্য ১৪ বছর ধরে বাড়িতে যান না এক চীনা ভদ্রলোক। নিজের আবাসস্থল হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছেন রাজধানী বেইজিংয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে।
চীনা সংবাদমাধ্যম চীনা ডেইলিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওয়েই নামের ওই ব্যক্তি জানান, তার বয়স এখন প্রায় ৬০। বয়স যখন ৪০ ছিল তখন তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর থেকে তিনি চাকরির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে বয়স বেশি হওয়ায় তার জন্য কাজ পাওয়া মুশকিল হয়ে গেছে। ২০০৮ সাল থেকে তিনি বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ২ নম্বর টার্মিনালে থাকছেন।
সারাদিনের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ওয়েই জানান, সকালে তিনি কাছেরই একটি বাজারে যান এবং নাস্তার জন্য ছয়টি ভাপ দেওয়া শুকরের মাংসের বন ও জাউ খান। দুপুরের খাবারে আরও কিছু আইটেম যোগ হয়। খাওয়া শেষে তিনি চীনা মদ বাইজু কিনেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বাড়ি ফিরে যেতে পারছি না কারণ সেখানে আমার কোনো স্বাধীনতা নেই। আমার পরিবার বলেছে যদি আমি থাকতে চাই, আমাকে ধূমপান ও মদপান ছেড়ে দিতে হবে। আমি যদি তা না করতে পারি, তাহলে তাদেরকে আমার সরকারি ভাতার পুরোটাই দিতে হবে। তাহলে আমি কীভাবে সিগারেট ও মদ কিনব?’
২০১৭ সালে, বড়দিনের ঠিক আগে, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ওয়েইকে চলে যেতে বলেছিল। পুলিশ তাকে বিমানবন্দর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তার বাড়িতে নিয়ে যায়। অবশ্য কয়েক দিন পর বিমানবন্দরে তার অস্থায়ী নিবাসে ফিরে আসেন।
ওয়েই বলেন, ‘আমাকে বের করে দেওয়া হলে আমি পুরনো সময়ের মতোই ফিরে আসি… অন্তত বিমানবন্দরে আমার স্বাধীনতা আছে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।